Wednesday, February 5, 2014

কাপাসিয়া উপজেলার নামকরণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

কাপাসিয়া উপজেলার নামকরণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
কাপাসিয়া উপজেলা একটি প্রাচীন জনপদ। এ জনপদের ভূমি গঠিত হয়েছে ২৫ লক্ষ বছর আগে। খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দী থেকে এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে তুলা উৎপাদিত হতো। উল্লেখযোগ্য প্রাচীন নিদর্শনের মধ্যে অন্যতম একডালা দুর্গ উপজেলা সদর হতে ৫ কিঃমিঃ দূরে কালী বানার, শীতলক্ষ্যা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে অবস্থিত। অনুমান করা হয় ৬০০ খ্রিঃ কোন হিন্দু রাজা এ দুর্গটি নির্মাণ করেন। এর দৈর্ঘ্য ৫ কিঃমিঃ, প্রস্থ ২ কিঃমিঃ। পান্ডুয়ার শাসনকর্তা হাজী শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ দুর্গটি ১৩৪২ খ্রিঃ হতে ১৩৫২ খ্রিঃ সময়ে সংস্কার করেছিলেন। পৌনে দু‘শ‘ বছর পর ১৫১৮ খ্রিঃ হতে ১৫৩২ খ্রিঃ আলাউদ্দিন হোসেন শাহের পুত্র নাসির উদ্দিন শাহ পুনরায় দুর্গটি সংস্কার করেন। রায়েদ ইউনিয়নে কালী বানার নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত দ্বার-ই দরিয়া (দরদরিয়া) দুর্গ ছিল একডালা দুর্গের শাখা দুর্গ। মোগল সম্রাট আকবরের সময়ে রাজা টোডরমল এ অঞ্চলকে ভাওয়াল পরগণায় অন্তর্ভুক্ত করেন। ব্রিটিশ রাজত্বের সময় কাপাসিয়া থানা ২৮টি ইউনিয়ন ছিল বলে জানা যায়। ১৯২৪ সালে কাপাসিয়া থানাকে কালিগঞ্জ ও শ্রীপুর থানায় বিভক্ত করা হয়। ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় কাপাসিয়া থানা। ১৫-১২-১৯৮২ সালে কাপাসিয়া থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়।

Monday, November 11, 2013

লতাপাতা বাজারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

লতাপাতা বাজারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস [ তরগাঁও, কাপাসিয়া, গাজীপুর]
আমাদের বাজার টির নাম একটু অদ্ভূতই বটে, কিন্তু এর পিছনে রয়েছে মজার একটি ইতিহাস। বাজার হওয়ার আগেই দক্ষিণ পাশে একটি বহেরা গাছ ছিল। গাছটি দেখতে মৃত মনে হলেও অল্প একটি ছালের দ্বারা গাছটি বেঁচে ছিল। তৎকালীন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা এই বহেরা গাছের নিচে লতাপাতা দিয়ে ভক্তি পূজা করত। তখন থেকেই এর নাম করণ করা হয় লতাপাতা বাজার। বাজার বলতে প্রথম দিকে এত দোকান পাট ছিলনা। এহছান নামের একজন চা বিক্রি করত। বলে রাখা ভাল বাজারের আরেকটি নাম লোকমুখে প্রচলিত, লতাপাতা দরগা। বহেরা গাছের ঠিক পশ্চিম দিকেই আরেকটি হেলানো পলাশ ফুল গাছ ছিল। তখন মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকেরা এই গাছের নিচে মোমবাতি দিত, বা কোন কিছু মান্নত করে মুরগি ছেড়ে দিত। পরবর্তীতে লতাপাতা দরগা ও বলা হত। আশা করি আমরা আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াসের মাধ্যমে আপানাদেরকে আরও অনেক কিছু জানাতে পারব- সাথেই থাকুন__________ইসমাইল
***ধন্যবাদ ***